শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ঝালকাঠিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ততই বাড়ছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না স্থানীয়রা।
গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আছে কিন্তু দমকা হাওয়া না থাকায় বিপদের মাত্রা ধরতে পারছেন না বাসিন্দারা। কেবল নদী তীরবর্তী মানুষরাই আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন।
শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলার মাত্র কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে গুটিকয়েক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
জেলার নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদী তীরবর্তী ভৈরবপাশা, মড়গ ও রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদী পাড়ের বড়ইয়া ও মঠবাড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় হাজার খানেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কিছু মানুষ এলাকার দ্বিতল ভবন আছে, এমন বাড়িতে যাচ্ছেন আশ্রয় নিতে।
স্থানীয়রা জানান, উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা এসব বৈরী আবহাওয়ায় অভ্যস্ত। আবার অনেকেই পরিবারের লোকজন ও গবাদিপশু নিয়ে যেতে পারছেন না।
রাজাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবপ্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রচুর শুকনো খাবার মজুদ করা হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে চিড়া, গুড় ও মুড়ি সরবারাহ করা হয়েছে। এছাড়া রাতে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে খিচুড়ি খাওয়ানো হবে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, জেলায় ৭৪টি সাইক্লোন শেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে সবকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্টোলরুম খোলা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য ৭ লাখ টাকা, ১১২ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার মেট্রিক টন শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।